সাতক্ষীরায় সোস্যাল মিডিয়াতে সীমাবদ্ধ বিরোধী দলের কার্যক্রম

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ১০ মাস আগে


আকিবুজ্জামিন : দীর্ঘ ১০ বছর পরে উত্তপ্ত সাতক্ষীরা রাজনীতির মাঠ। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম, কর্মসূচি ও দলীয় অবকাঠামো অনেক মজবুত করেছে আওয়ামী লীগ, যার ফলে দূরদূরান্তে আওয়ামী লীগের সুনাম ও কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফুলে উত্তপ্ত হচ্ছে সাতক্ষীরার রাজনীতির মাঠ। দীর্ঘদিন রাজনীতির মাঠে না থাকা সংগঠন জামায়াতে ইসলামী কর্মীদের ও মাঠে দেখা গেছে। বিগত ছয় মাসে বেগবান হয়ে উঠেছে বি এন পি ও অঙ্গ সংগঠনের কার্যক্রম। যার ফলে জেলার রাজনৈতিক মাঠ চরম উত্তেজনার মধ্যে। আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণ দিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি।

জেলায় বর্তমানে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, সহ ভিপি নূরের গণধিকার পরিষদের, কর্মীদের মাঠে দেখা গেছে। একদিকে আওয়ামী সমর্থিত কর্মীদের নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা, উন্নয়ন কার্যক্রম, প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছে। অন্যদিকে বর্তমান সরকারের পতন ঘটিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনরত অবস্থায় আছে অন্যান্য দলগুলি। হরতাল ও অবরোধের মত কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা শক্ত অবস্থানে থাকায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন বা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কারোর কার্যক্রম চোখে পড়েনি। অবরোধ বা হরতাল এর কোন প্রভাব জেলায় চোখে পড়েনি।

সাতক্ষীরা জেলার জামায়াতের ঘাটি হিসেবে পরিচিত সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাঁড়ী, ব্রক্ষ্মরাজপুর, ভোমরা, ঘোনা, বৈকার ইউনিয়ন। শ্যামনগর উপজেলার ভুরুলিয়া, কাশিমাড়ী, নুরনগর, ঈশ্বরীপুর, অটুলিয়া ও বুড়িগঙ্গালী ইউনিয়ন। দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া, পারুলিয়া, সখিপুর, নওয়াপাড়া। তালা উপজেলার নগর ঘাটা, কুমিরা, ধানদিয়া, তালা ও মাগুরা ইউনিয়ন। কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা, তারালি, ভাড়াশিমলা, কুশুলিয়া, চাম্পা ফুল, মৌতলা ইউনিয়ন।আশাশনি উপজেলার বুধহাটা, দরগাহ্পুর, প্রতাপনগর, কাদাকাটি সহ একাধিক ইউনিয়নকে জামায়াতের ঘাটি হিসেবে ধরা হত। তবে বিগত ১০ বছরে নিষ্ক্রিয় অবস্থানে রয়েছে দলটি। জেলা বিএনপি অঙ্গ সংগঠন ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের মত সংগঠন এর বড় কোন সমাবেশ বা কার্যক্রম এর মধ্যে চোখে পড়েনি।

বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়াতে বি এন পি ও গণ অধিকার পরিষদের কর্মীদের ফেস্টুন লিফলেট সহ রাজনৈতিক প্রচার প্রচারনা করতে দেখা যাচ্ছে। সোশাল মিডিয়াতে মোটামুটি কার্যক্রম চলছে দলগুলোর। বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে সংগ্রহীত তথ্য মতে – বিএনপি’র ছাত্র ও যুবদলের এসেছে অনেক নতুন মুখ, তারা আগে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল না। বিগত কয়েক দিনে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা কে কেন্দ্র করে আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। হরতাল ও অবরোধের মতো কর্মসূচি থাকায় যান চলাচল ব্যহত। যার ফলে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় যাতায়াতে যাত্রীদের হচ্ছে দুর্ভোগ। জরুরী চিকিৎসা, বিদেশ গামি যাত্রী, ব্যবসায়ী সহ প্রায় সকল পেশার মানুষই দুর্ভোগে বেড়েছে। প্রশাসনের সর্বোত্তম সহায়তায় সাতক্ষীরা জেলায় কোন নাশকতা বা বিশৃঙ্খলার ঘটনা না ঘটলেও জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নাশকতা এড়াতে ও নির্বাচন কেন্দ্রিক সহিংসতা প্রতিরোধে, উগ্রবাদী বা নাশকতাকারী হিসেবে পূর্বে চিহ্নিত এমন ব্যক্তিদের উপরে প্রশাসনিক নজরদারি রাখা হচ্ছে ( বিশেষ সুত্রে পাওয়া)।

অন্যদিকে বিএনপি’র বিভিন্ন কর্মীদের প্রেরিত তথ্য মতে – পুলিশ নির্বিচারে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে এমন দাবি করছেন নেতা কর্মীরা। সর্বোপরি দীর্ঘদিন পরে আবারো গরম হচ্ছে রাজনীতির মাঠ। অস্তিত্ব রক্ষায় সর্বাত্মক প্রস্তুত জামায়াতে ইসলামী, বি এন পি, গন অধিকার পরিষদ, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশসহ একাধিক রাজনৈতিক সংগঠন।

অন্যদিকে আবারও নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরীর সপ্ন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সর্বোপরি নির্বাচন কেন্দ্র করে কিছুটা উত্তেজনা বিরাজ করছে। অন্যদিকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য বিদেশী মিডিয়া গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে বলে জানা গেছে। নির্বাচন নিয়ে অষ্টম পর্বের ধারাবাহিকের ২য় পর্ব।

IT Amadersomaj