কালীগঞ্জে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা!

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ১ বছর আগে


আল আমিন (বাবু), লালমনিরহাট প্রতিনিধি॥ লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ছালমা বেগম(৪২) নামের এক গৃহবধুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে ভাসুরের বিরুদ্ধে।

গত ১৫ মে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মধ্যে গোপালরায় এলাকায়। এ ঘটনায় ১৮ মে রাতে ভুক্তভোগী ওই গৃহবধু কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

ভূক্তভোগীর লিখিত অভিযোগে সুত্রে জানা যায়,১৯৯৮ সালের ২৯ মার্চ মধ্যে গোপালরায় এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলের সাথে বিয়ে হয় জামালপুর এলাকার মৃত আবুল হোসেনের মেয়ে ছালমা বেগমের। বিয়ের পর স্বামীর বাড়ীতে ঘর সংসার করা অবস্থায় দুই মেয়ে ও এক সন্তানের মা হন গৃহবধূ ছালমা বেগম। এর পর ২০০৮ সালে সুকৌশলে ওই গৃহবধুর স্বামী একরামুল কে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেন তার স্বামীর আপন বড় ভাই রুহুল আমিন। পরবর্তীতে নিখোঁজ হন স্বামী একরামুল হক। নিখোঁজের পর রুহুল আমিন গৃহবধূকে জানিয়ে দেন তার স্বামী মারা গেছেন। আজ ১৫ বছর ধরে নিখোঁজ স্বামীর সন্ধান না পাওয়ায় সন্তানদের নিয়ে স্বামীর বসতভিটায় কোন রকম জীবনযাপন করেন গৃহবধু সালমা বেগম। এরই সুযোগে বিভিন্ন সময় ভাসুর রুহুল আমিন টাকা পয়সার লোভ দেখিয়ে বিবাহের প্রলোভনসহ ঐ গৃহবধূকে কু- প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এরই এক পর্যায়ে গত ১৫ মে গভীর রাতে ভাসুর রুহুল আমিন ওই গৃহবধূর শয়ন ঘরে প্রবেশ করে ধর্ষনের চেষ্টা করেন।

এ বিষয় ওই গৃহবধূ কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, রুহুল আমিন মেম্বার আমার ভাসুর আমার জীবিত স্বামীকে মৃত ঘোষনা করে আমার কাছ থেকে আমার স্বামীকে কেড়ে নিয়ে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়েছেন। ১৫ বছর ধরে স্বামী না থাকায় সন্তানদের নিয়ে অনেক কষ্টে জীবনযাপন করছি। গত ১৫ মে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে আমার ভাসুর আমার ঘুমের ঘরে এসে আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় আমার চিৎকারে আমার সন্তানরা ঘুম থেকে জেগে উঠে আমাকে রক্ষা করে। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই। সেই সাথে আমার স্বামীকে মৃত ঘোষনা করার সাথে যারা জড়িত তাদেরও শাস্তি চাই এবং আমার স্বামীকে ফেরত চাই।

অভিযোগ দায়েরের ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ১৯ মে সকালে ওই গৃহবধূর ভাসুর রুহুল মেম্বার, শাহিদা, শাপলা, শেফালী, সাইদুল, ভাসুর আমিনুর, নারজিনা, শ্যামলী, ভাসুর নুরু এবং ময়না সকলে মিলে হামলা চালিয়ে গৃহবধুর সন্তানদেরসহ তাকে মারপিট করেন। বর্তমানে তিনি সন্তানদেরসহ কালীগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গৃহবধু ছালমা বেগম, ভর্তি রেজিঃ নং-৫৫২২/১৩,বেড নং-এক্সট্রা-১৯। মিম বেগম, ভর্তি রেজিঃ নং- ৫৫২৩/১৪, বেড নং-১৭। আঁখি বেগম,ভর্তি রেজিঃ নং- ৫৫২৪/১৫, বেড নং-এক্সট্রা-১৮।

এ বিষয় কালীগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত হাবিবুর রহমান বলেন,  ওই গৃহবধুর অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



Source link

IT Amadersomaj