সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন পরিচয়ে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভনে দুুুই লক্ষ টাকা আত্মসাৎ

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ১ বছর আগে


ক্রাইম ডেস্ক॥ সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন পরিচয়ে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভনে দুুুই লক্ষ টাকা আত্মসাৎকারী আসামী ১) মোঃ মাসুদ রানা @ সাকিব খাঁন (৩৯), পিতা- মোঃ মফিজ উদ্দিন, মাতা- মোছাঃ আয়শা সিদ্দিকা, গ্রামঃ গোনাইগাছি, থানাঃ ভাঙ্গুরা, জেলাঃ পাবনা’কে গ্রেফতার করেছে পিবিআই যশোর।

পিবিআই এর প্রেস রিলিজে জানা যায়, প্রতারক  StarMaker apps এ নিজেকে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন পরিচয়ে গান পরিবেশন করত। বাদী উক্ত গানে কমেন্ট করলে আসামীর সাথে পরিচয় হয়। আসামী নিজেকে সেনাবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেন এবং বাড়ী রাজশাহী বলে পরিচয় দেয়। StarMaker এ Sakib Khan (Fahim) আইডির মাধ্যমে বাদীর সাথে অন-লাইন বন্ধুত্ব হয়। বাদী সরকারী প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক হওয়ায় আসামী বাদীকে যোগাযোগ করে আরো ভালো চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে ২,০০,০০০/- লক্ষ টাকা নগদ একাউন্টের মাধ্যমে নেয়। পরবর্তীতে আসামী আরো টাকা দাবী করলে বাদী বুঝতে পারে সে প্রতারণার স্বীকার হয়েছে। তখন বাদী আসামীর নিকট টাকা ফেরত চায়। আসামী উক্ত টাকা ফেরত দিবে মর্মে বাদীকে আশ্বস্ত করে গত ০৭/০৭/২০২৩ খ্রিঃ যশোর চাঁচড়া মোড়ে দেখা করতে বলে। বাদী উক্ত স্থানে আসামীর সাথে দেখা করতে গেলে চাঁচড়া মোড়স্থ মধুমতি হোটেলে বসে আসামী বাদীকে জুস খেতে বলে। জুস খাওয়ার পর বাদী কোন কিছু না বুঝেই আসামীর কথা মত তার ব্যবহৃত একটি স্বর্ণের চেইন, এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, একটি স্বর্ণের আংটি যার আনুমানিক মূল্য ২,৪১,০০০/- টাকা ও একটি Samsung মোবাইল আসামীকে দিয়ে দেয়। আসামী বাদীর সামনে থেকে উক্ত স্বর্ণালংকার ও মোবাইল নিয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে চলে যায়। পরবর্তীতে বাদী বুঝতে পারে আসামী মোঃ মাসুদ রানা @ সাকিব খাঁন তার সাথে প্রতারণা করেছে। উক্ত প্রতারণা করার বিষয়ে বাদী গত ১৫/০৭/২০২৩ খ্রিঃ পিবিআই যশোর জেলা ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন, পিপিএম-সেবা এর বরাবরে আবেদন করলে পুলিশ সুপার মহোদয় আবেদনটি ছায়া তদন্তের জন্য এসআই(নিঃ) রেজোয়ান, পিবিআই, যশোর জেলাকে নির্দেশ প্রদান করেন।

এসআই(নিঃ) রেজোয়ান কর্তৃক অনুসন্ধানকালে জানা যায়, আসামী মোঃ মাসুদ রানা @ সাকিব খাঁন (৩৯) পেশায় একজন কৃষক, সে এসএসসি পর্যন্ত পড়াশুনা করে। সে পেশায় কৃষক হলেও মূলত StarMaker apps এ আর্মি ক্যাপ্টেন পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মেয়ের সাথে সখ্যতা গড়ে তলে। পরবর্তীতে ভাল চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকর নিয়ে নেয়। পূর্বেও সে একাধীক মেয়ের সাথে প্রতারণা করে। সে বাদীর সহিত একইভাবে সখ্যতা গড়ে তোলে এবং বাদীকে বেশি বেতনের চাকুরী দিবে এই প্রলোভন দেখিয়ে নগদ ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে ২,০০,০০০/- টাকা এবং ২,৪১,০০০/- টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার নিয়ে নেয়। সে একজন বড় মাপের প্রতারক বলে জানা যায়। উক্ত বিষয়ে অনুসন্ধানকালে আসামী মাসুদ রানা @ সাকিব খাঁন ঘটনার সহিত জড়িত মর্মে সত্যতা পাওয়া গেলে পিবিআই প্রধান জনাব বনজ কুমার মজুমদার বিপিএম (বার), পিপিএম, অ্যাডিশনাল আইজি, বাংলাদেশ পুলিশ এর সঠিক তত্ত¡বধান ও দিক নির্দেশনায়, পিবিআই যশোর জেলা ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন, পিপিএম-সেবা এর নেতৃত্তে¡ এসআই(নিঃ) রেজোয়ান, এসআই(নিঃ) শরীফ এনামুল হক, এসআই(নিঃ) মোঃ জিয়াউর রহমান, এসআই(নিঃ) রতন মিয়া সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স সহ যশোর জেলার আভিযানিক দল কর্তৃক গত ০২/০৯/২০২৩ খ্রিঃ ২৩.৩০ ঘটিকায় পাবনা জেলার ভাঙ্গুরা থানাধীন থানা রোডস্থ ওমর ট্রেডার্স এর দোকানের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকালে আসামীর নিকট থেকে ভিকটিম এর ব্যবহৃত Samsung M10 মডেলের মোবাইল ফোন এবং পরবর্তীতে গত ০৩/০৯/২০২৩ খ্রিঃ উক্ত আসামি দেওয়া স্বীকারোক্তি মতে, বাদীর নিকট থেকে নেওয়া স্বর্ণালংকার খুলনার হেলাতলা রোডস্থ নিউ অনিমা জুয়েলার্সে হতে ১২.৫৮ গ্রাম গলিত স্বর্ণ উদ্ধারপূর্বক জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে আসামীর বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করলে কোতয়ালী মডেল থানার মামলা নং-১৯, তারিখঃ ০৩/০৯/২০২৩ খ্রিঃ, ধারাঃ ৪০৬/৪২০/৩২৮/৩৭৯ পেনাল কোড রুজু হয়।

উক্ত মামলাটি পিবিআই, যশোর জেলা স্ব-উদ্দ্যোগে গ্রহণ করে মামলার তদন্তভার এসআই (নিঃ) রেজোয়ান এর উপর অর্পণ করা হয়। মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই(নিঃ) রেজোয়ান ঘটনা সংক্রান্তে জড়িত আসামীকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামি ঘটনার সাথে জড়িত মর্মে স্বীকার করলে ০৩/০৯/২০২৩ খ্রিঃ জনাব পলাশ কুমার দালাল, বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, আমলী আদালত, যশোর আদালতে সোপর্দ করা হলে আসামী বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। মামলার তদন্ত অব্যহত রয়েছে।



Source link

IT Amadersomaj