[ad_1]
ব্যবসা করে কোটিপতি হয়েছেন এমন লক্ষ লক্ষ নজির রয়েছে। কিন্তু চাকরি করে কোটিপতি সেটা হাতে গোনা। আর তাই বুদ্ধিমানেরা ব্যবসার পিছনেই ছোটেন। কিন্তু ব্যবসা শুরু করার আগে সেই ব্যবসা সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। জেনে নিতে হবে এই ব্যবসায় খরচ কেমন, লাভ কেমন কিংবা ঝুঁকি বা কেমন ইত্যাদি। তাই আজকে আপনাদের বর্তমানে ১০ টি লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া দিব।
ব্যবসায় লাভ করতে হলে বা সফলতা অর্জন করতে হলে সঠিক ব্যবসা নির্ধারণ, কঠোর পরিশ্রম, সঠিক বিনিয়োগ, মেধা, ভাগ্য, কৌশল ইত্যাদির প্রয়োজন। সবকিছুর সংমিশ্রণেই আসবে আপনার সফলতা।
নিচে কিছু লাভজনক ব্যাবসার বিস্তারিত ধারণা দেওয়া হলো।
লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া খুঁজতে গেলে প্রথমদিকেই থাকবে ফার্মেসি ব্যবসা। এই ব্যবসাটা খুবই লাভজনক। যারাই ঔষধের ব্যবসা করেন তাদের বেশিভাগই এই ব্যবসা করে সফল হয়েছেন।
ফার্মেসি ব্যবসা গ্রামে বা শহরে যেকোনো জায়গায় করা যায়। কারণ ঔষধের চাহিদা কম বেশি সব জায়গায়ই থাকে। এক্ষেত্রে ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে ছোট পরিসরে ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। ৮ম শ্রেণি পাশ করা ব্যাক্তিও এই ব্যবসা করতে পারেন।
আমরা মাছে ভাতে বাঙ্গালী। তাই মাছের চাহিদা এদেশে কখনোই কম ছিলোনা। আশা করা যায় কখনো কমবেও না। আর মৎস ব্যবসা হতে পারে একটি লাভজনক ব্যবসা।
বর্তমানে বিভিন্ন শিক্ষিত যুবক মাছ চাষ ও ব্যবসার সাথে জড়িত। মাঝারি আকারের ২ থেকে ১০ টা পুকুর হলেই আপনি মাছ চাষ করে খুব ভালো পরিমাণ লাভ করতে পারেন। এক্ষেত্রে যুব উন্নয়নের প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন।
মাছ চাষের ক্ষেত্রে পুকুর আপনার নিজের হতে পারে অথবা লিজ নিয়ে কাজ শুরু করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন পরিত্যাক্ত জলাশয়কে মাছ চাষে ব্যবহার করা যায়।
আরেকটি লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া হচ্ছে ফুলের ব্যবসা। বিয়ে, জন্মদিন, ২১শে ফেব্রুয়ারিসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ফুলের চাহিদা ব্যাপক। তাই ফুলের ব্যবসা সারা বছরই চাঙ্গা থাকে। তাই যেকোনো যুবক ফুলের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
ফুলের ব্যবসার সাথে ফুল দিয়ে ঘরবাড়ি সাজানোর কাজও করতে পারেন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে স্টেজ ও ঘর সাজিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে বাড়তি ইনকাম করা যেতে পারে। বিশেষ করে হলুদের প্রোগ্রামে কাজ করে ভালো ইনকাম করা যায়।
মাত্র ২০০০ টাকায় ব্যবসা করতে চাইলে এই ব্যবসা আপনার পারফ্যাক্ট। লবণের দাম বাংলাদেশে খুবই কম। তাই চাষীদের থেকে কম দামে লবণ কিনে সেটি প্যাকিং করে বিক্রি করে ভালো লাভ করতে পারেন।
এক্ষেত্রে ১-২ টাকা কেজি দরে লবণ কিনে নিতে হবে। এরপর সেগুলো ২৫ থেকে ৫০ পয়সা দামের প্যাকেটে প্যাকিং করতে পারেন। এক্ষেত্রে হাতে বা মেশিনের মাধ্যমে প্যাকিং করতে পারবেন। লবণ কেনা ও প্যাকেজিংয়ে প্রতি কেজিতে ২ থেকে ৪ টাকা খরচ আসতে পারে। আর প্রতি কেজি লবণ ৮ থেকে ১০ টাকায় বিক্রি করতে পারেন।
দৈনিক ৫০০ প্যাকেট বিক্রি করতে পারলে কমপক্ষে ২০০০ টাকা আয় করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে মাসে ৬০,০০০ টাকা আয় করার একটা সুযোগ আছে। তাই ২০০০ টাকায় ব্যবসা শুরু করতে চাইলে লবণ প্যাকেজিং ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
ব্রয়লার মুরগীর চাহিদা দেশে ব্যাপক হারে বেড়ে যাচ্ছে। তাই আপনি চাইলে কিছু পুঁজি খাটিয়ে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসার সুবিধা হলো এটি গ্রাম বা শহরের যেকোনো জায়গায়ই শুরু করা যায়। আর দোকান খরচ বাদে ৫,০০০ থেকে ২্০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করে এই ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে।
পাইকারি দামে ব্রয়লার মুরগী কিনে সেগুলো খুচরা মূল্যে বিক্রি করে মাসে ১৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা লাভ করা যেতে পারে। দেশে লক্ষাধিক মুরগী ব্যবসায়ী রয়েছেন। বেশিরভাগই সফলতার সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে। তবে ব্যবসা শুরুর আগে এই বিষয়ে ভালো ধারণা নিয়ে নিতে হবে।
বাঙ্গালী ভোজন রসিক। তাই রেস্টুরেন্ট ব্যবসা হতে পারে আপনার জন্য আরেকটি লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া। বর্তমানে শুধু শহর নয় গ্রামের মানুষও রেস্টুরেন্টে খেতে অভ্যস্ত।
তাই ১০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
কাচ ও চিনামাটির পণ্যের পাশাপাশি বর্তমানে প্লাস্টিকের চাহিদাও বেড়েছে। তাই বিভিন্ন পণ্য এখন প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হয় যেমনঃ জগ, গ্লাস, ঝুড়ি ইত্যাদি।
ভাঙারি ব্যবসায়ীর থেকে কমদামে প্লাস্টিক কিনে সেটি রিসাইকেল করে বিক্রি করতে পারেন। এক্ষেত্রে ৩ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকায় ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
অনেক বেকার যুবকেরই ব্যবসা শুরু করার জন্য খুব বেশি পরিমাণ অর্থ থাকেনা। তাই তাদের জন্য ফুড কার্ট ব্যবসা হতে পারে ১০০০ টাকার ব্যবসা আইডিয়া।
মাত্র ১০০০ টাকা থেকে ১০,০০০ টাকায় ফুড কার্ট ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনার ফুড কার্টে বিভিন্ন ধরণের খাবার বিক্রি করে মাসে ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন।
এই ব্যবসাটি সম্পর্কে অনেকেই অবগত নন। কিন্তু আপনি একটু খোঁজখবর নিয়ে দেখলেই বুঝতে পারবেন নারিকেল ও সুপারির চাহিদা কেমন।
নারিকেল -সুপারির চাহিদা এক কথায় আকাশচুম্বী। খুচরা মূল্যে কৃষকের থেকে নারিকেল ও সুপারি কিনে সেটি ভালো দামে বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা যায়। এটি খুবই লাভজনক ব্যবসা।
এই ব্যবসাটি শুরু করার জন্য ৫ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন। আর এই ব্যবসা করে মাসে ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।
কাঁচা বাজার হোম ডেলিভারি করার ব্যবসা বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়। বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ। মানুষের হাতে এখন সময় কম। বিশেষ করে চাকরিজীবি ও ব্যবসায়ীদের হাতে সময় থাকেনা। তারা অনলাইনে কেনাকাটা করতেই এখন বেশি পছন্দ করেন।
এমনই সব কাস্টমারদের তার্গেট করে কাঁচাবাজার ডেলিভারি ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। তবে এই ব্যবসা গ্রামের তুলনায় শহরাঞ্চলে বেশি লাভজনক। তাই কোন একটি ভালো শহরকে কেন্দ্র করে দোকান খরচ বাদে ২০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা দিয়ে এমন একটি ব্যবসা শুরু করতে পারি।
এই পোস্ট টি পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে তো কমেন্ট করে জনাবনে। আর যদি কোনো কিছু ভুল হয় তো তাও কমেন্টে জানিয়ে দিবেন।
এতক্ষণ পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
[ad_2]