[ad_1]
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আনিচুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিপুল একজন মহা প্রতারক। প্রায় সব ধরনের প্রতারণায় তিনি পারদর্শী।’বিপুলের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে ৫ জুন রাজধানীর মতিঝিল থানায় একটি মামলা হয়। মামলার বাদী প্রতারণার ভুক্তভোগী দাবিদার গিয়াস।
মামলার এজাহারে গিয়াস অভিযোগ করেন, এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে বিপুলের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। তাঁর সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন বিপুল। তিনি তাঁকে (গিয়াস) একটি সরকারি ব্যাংকে ‘বিজনেস অফিসার’ পদে চাকরির প্রস্তাব দেন। এ জন্য গিয়াসের কাছে সাড়ে চার লাখ টাকা চান বিপুল। টাকা দিলে তিন মাসের মধ্যে চাকরি হবে বলে আশ্বাস দেন। এই কথায় বিশ্বাস করে গত বছরের ১ জুন বিপুলকে প্রথমে এক লাখ টাকা দেন গিয়াস। তাঁর মেইলে চাকরির পরীক্ষার প্রবেশপত্র পাঠানো হয়। পরে বিপুল ফোন করে গিয়াসকে বলেন, তাঁর পরীক্ষা দেওয়ার দরকার হবে না। গিয়াসের হয়ে ব্যাংকের এক কর্মকর্তা পরীক্ষা দিয়ে দেবেন। কয়েক দিন পর গিয়াসের মুঠোফোনে খুদেবার্তা আসে যে তিনি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাঁকে বাকি টাকা দিয়ে নিয়োগপত্র সংগ্রহ করতে বলেন বিপুল। বাকি সাড়ে তিন লাখ টাকা দেওয়ার পর গিয়াসের হোয়াটসঅ্যাপে বিপুল একটি নিয়োগপত্র পাঠান। এই নিয়োগপত্র নিয়ে চাকরিতে যোগদান করতে গিয়েই গিয়াস জানতে পারেন, তিনি প্রতারিত হয়েছেন। বিপুলকে ফোন করে টাকা ফেরত চাইলে তিনি হত্যার হুমকি দেন বলে মামলায় অভিযোগ করেন গিয়াস।
[ad_2]