মোঃ জাকির হোসেন, নীলফামারী॥ নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের সাংবাদিক এম ওমর ফারুকের জমির ভূয়া মালিকানা দাবী করে তা দখলের অপচেষ্টা চালিয়েছে দূর্বৃত্তরা। এর প্রতিবাদ করায় অকথ্য গালিগালাজ করে মারপিট করাসহ মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানী করবে বলেও ভয়ভীতি দেখিয়েছে। এমনকি হত্যার হুমকিও প্রদান করেছে। এই কারণে নিজের ও পরিবারের লোকজনের জীবনের নিরাপত্তা ও অন্যায়ের বিচার দাবী করে থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছে ভুক্তভোগী সংবাদকর্মী।
সোমবার (৭ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২ টায় সৈয়দপুর থানায় অনলাইন লিখিত জিডিতে (নং ৩৯২) প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও এবি নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম এর উপজেলা প্রতিনিধি এম ওমর ফারুক উল্লেখ করেছেন যে, তিনি সৈয়দপুর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের হাতিখানা বানিয়াপাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা। বাড়ির সামান্য দূরে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৬১ শতক জমি আছে। যা প্রায় ৫৮ বছর থেকে পারিবারিকভাবে ভোগ দখল করে আসছেন। সেখানে বর্তমানে আমন ধান লাগানো হয়েছে।
গত ৪ আগস্ট সকাল ১০ টার দিকে ওই জমিতে গেলে প্রতিবেশী মৃত হেচাব উদ্দীনের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন (৬০), মো. হুসেন আলীর ছেলে মো. মিলন (৩৫) ও মো. রেয়াজুল ইসলাম রাজা (৪১) এবং মৃত হাচান আলীর ছেলে মো. মানোয়ার হোসেন (৩৮) জমিটি তাদের দাবী করে জমি থেকে চলে যেতে বলে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। প্রতিবাদ করলে মারপিট করতে উদ্ধত হয়।
সাংবাদিক ফারুক বলেন, তারা সংঘবদ্ধ ও তাদের হাতে লাঠিসোটা থাকায় এবং আমি একা হওয়ায় দ্রুত দৌড় দিয়ে বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার করে বাড়িতে এসে রক্ষা পাই। এখনও তারা নানাভাবে মারার ও মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর হয়রানী করাসহ প্রয়োজনে খুন করে জমি বেদখল করবে বলে হুমকী দিয়ে যাচ্ছে। অথচ জমিটি ১৯৬৫ সালে মৃত হেচাব উদ্দীন আমার বাবা মো. কছিমুদ্দীন প্রামানিকের কাছে বিক্রি করেছেন। বাবার মৃত্যুর পর তাঁর ক্রয়কৃত ওই সম্পত্তি পৈত্রিক সূত্রে আমি পেয়েছি। যার দলিল ও অন্যান্য সকল কাগজপত্র বিদ্যমান। তাদের বৈধ কোন দস্তাবেজ না থাকলেও তারা সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে মালিকানা দাবী করছে।
তারা জনবলে বেশী ও উগ্র প্রকৃতির এবং আমি পরিবারের একমাত্র পুরুষ ও উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হওয়ায় বেআইনীভাবেই তারা জমিটি দখল করতে চায়। এজন্য আমাকে যে কোনভাবে দূর্ঘটনা কবলিত করে তারা আমার পরিবারকে ধ্বংস করাসহ সব সম্পত্তি জোরপূর্বক গ্রাস করার অপপ্রয়াসে লিপ্ত। তাদের এমন সন্ত্রাসী আচরণে আমি সপরিবারে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই আইনের সহায়তা পেতে জিডি করেছি।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন, জিডির বিষয়টি আমি অবগত নই। তবে অনলাইনে করা হয়ে থাকলে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দিলে আদালত কর্তৃক হাজিরার নোটিশ প্রদান করা হবে। সেখানে উভয়পক্ষের কাগজ দেখা হবে। তবে ভয়ভীতি দেখানো ও হুমকীর বিষয়টি প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেননা জমির মালিকানা দাবীর পক্ষে কাগজপত্র থাকলে আদালতের শরণাপন্ন হয়ে আবেদন করতে পারে। আইন হাতে তুলে নিয়ে অহেতুক কাউকে হয়রানী করতে পারেনা।
এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা কোনভাবে সামনে আসেনি এবং এ বিষয়ে তাদের মতামত জানাননি।