হিজড়া সেজে মেহেরপুরের নিশান ও মাজিদুলের হিজড়াদের পেটে লাথি, অভিযোগ অন্তরালে নারী ব্যবসার

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ১ বছর আগে


মেহেরপুর প্রতিনিধি:  মেহেরপুরে সদর উপজেলায় ছেলে হয়েও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ (হিজড়া) সেজে প্রতারণা ও অশ্লীলতা এবং নারীদের নিয়ে দেহ ব্যাবসা চাঁদাবাজির অভিযোগ সহ এক গুচ্ছর অভিযোহ মো: নিশান (২৫) এবং মো: মাজিদুল (২৮) নামের দুই যুবকের বিরুদ্ধে। মাজিদুল বর্তমানে শিলা নামে পরিচিত। নিশান সদর উপজেলার নবগঠিত শ্যামপুর ইউনিয়নের গোপালপুর বসন্তপুর গ্রামের সমির আলীর ছেলে।

জানা যায়, হিজড়া সেজে প্রতারণার মাধ্যমে অশ্লীলতা চাঁদাবাজি ও নারীদের দিয়ে দেহ ব্যাবসা করানো নিশানের এক মাত্র পেশা। মেহেরপুর সদর হাসপাতাল সহ শহরের বিভিন্ন যায়গা থেকে চলে নিশানের নারী নিয়ে রমরমা ব্যবসা। জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে নারীদের বিভিন্ন খদ্দেরের কাছে পাঠিয়ে মোটা অংকের কমিশন নিয়ে সটান দেন নিশান। তাছাড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে হাটবাজারে মানুষের কাছ থেকে চাঁদাবাজি ও প্রতারণা করাসহ অশ্লীলতা এবং ব্ল্যাকমেইল করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে নিশান এবং তার সহযোগি মাজেদুল ওরোফে (শিলা) এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর।

সরোজমিনে গিয়ে দেয়া যায়, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, নিশান আগে তার বাবার সঙ্গে কৃষি কাজসহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করতেন। পরবর্তীতে তিনি শিহাব নামের এক যুবকের হাত ধরে ঢাকায় গিয়ে বিশ দিন আহে সেখান থেকে সে সার্জরি করে। পরে নারীদের পোশাক পরে বিভিন্ন গ্রামে ছেলে নাচিয়ে বেড়ায়। গত বুধবার নিশান এবং তার সহযোগী মাজেদুল কাঠাল পোতা গ্রামে ছেলে নাচাতে গেলে সেখানে মেহেরপুর থেকে সিমা হিজড়ার দল তাদেরকে ধাওয়া করলে নিশান পালিয়ে গেলেও মাজেদুল ওরফে (শিলা) ধরা পড়ে। পরে সেখান থেকে মাজেদুলকে গন ধোলাই দিয়ে মেহেরপুরে নিয়ে আসে সিমা হিজড়ার দল। পরে মাজেদুলের পরিবারে জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে নিশানের কাছে ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে তিনি সব সত্য বলে স্বীকার করেন এবং আর কোনদিন এই ধরনের কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকবেনা বলেন। নিশানের মায়ের কাছে নিশানের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, আমি এবং আমার পরিবার কোন ভাবেই তাকে এসব কর্মকান্ড থেকে সরাতে পারিনি।

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি) সাইফুল আলম জানান, হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ বলে পরিচয় দিয়ে প্রতারণাসহ ব্ল্যাকমেইলের সঙ্গে জড়িত থাকলে লিখিত অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

IT Amadersomaj